৫টি প্রতিবেদন রচনা PDF | Bengali Report Writing Book
পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ৫টি প্রতিবেদন রচনা PDF | Bengali Report Writing Bookটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি| এখানে সাম্প্রতিক ঘটনার উপর রিপোর্ট রাইটিং বা বাংলা প্রতিবেদন রচনা দেওয়া হয়েছে, যেমন- আম্ফান, করোনা, মানসিক অবসাদ, ভাইজ্যাগ গ্যাস দুর্ঘটনা এবং আত্মনির্ভর ভারত অভিযান| পর্ব-১ -এ ৫টি প্রতিবেদন রইলো, পরবর্তী পর্ব গুলিতে এইভাবে আরো বিষয়ের উপর আমরা দিতে থাকব|
WBCS, ICDS Main, PSC Clerkship-সহ বিভিন্ন পরীক্ষাতে Bengali Report Writing আসে যা এর সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত| সুতরাং এই সমস্ত পরীক্ষাতে ভালো ফল করতে এই প্রতিবেদন রচনার পিডিএফটি এখনি ডাউনলোড করে নিন একদম ফ্রিতে|
কিছু নমুনা প্রতিবেদন রচনা::
করোনার প্রকোপ বিশ্বজুড়ে, বিপন্ন মানব সভ্যতা
কলকাতা, ১লা জুলাই, ২০২০: আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯, গোটা পৃথিবী আজ বিপর্যস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত। ভয়াবহ এই মারণ ভাইরাসের থাবা এক লহমায় যেন গ্রাস করে নিয়েছে গোটা মানব সভ্যতাকে। এমন একটি ভাইরাস সমগ্র পৃথিবীকে অস্থিতিশীল করে তুলবে, আধুনিক ও তথ্যপ্রযুক্তির সভ্যতাকে বিপন্ন করবে, এমনটি কিছুদিন পূর্বেও সভ্য জগতের মানুষ উর্বর মস্তিষ্ক দিয়ে চিন্তা করেনি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ চীনের উহান প্রদেশে সর্বপ্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রকাশ্যে আসে। বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই ভাইরাসের ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করবে সেটি কল্পনাতীত ছিল।
বর্তমানে বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি দেশ এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। গোটা বিশ্বের মৃত্যু-মিছিল অব্যাহত। আক্রান্তের সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে অনেকদিন আগেই। ভারতবর্ষে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। থমকে গিয়েছে মানবজীবন, বিপর্যস্ত অর্থনীতি এবং মানব সভ্যতা এক গভীর সংকটে। সংক্রমণ আটকাতে সব দেশই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দেশজুড়ে জারি হয়েছে দীর্ঘ লকডাউন। বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য বিভাগ লড়াই করে চলেছে প্রতিনিয়ত। স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী মানুষ ব্যবহার করছে মাস্ক, স্যানিটাইজার, মেনে চলছে সামাজিক দূরত্ব,- এক অদ্ভুত পরিস্থিতির লক্ষ্য শুধুমাত্র মুক্তি। লকডাউনে কাজ বন্ধ হওয়ার কারণে খাদ্য সংকট ঠেকাতে সরকার বদ্ধপরিকর, গ্রহণ করছে একাধিক ব্যবস্থা, আর্থিকভাবে সাধারণ মানুষকে সাহায্যের চেষ্টাও চলছে। এই এই কঠিন সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে সুস্থ রাখাই প্রতিটি রাষ্ট্রের কর্তব্য। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এগিয়ে এসেছে এই কঠিন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। সভ্যতার এই বিপদ সংকটে একযোগে সমাজের সকল স্তরের মানুষ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জারি করেছে একাধিক স্বাস্থ্যবিধি এই ভাইরাস সংক্রমনের মোকাবিলায়। পরিস্থিতি সামালের নিরন্তর প্রচেষ্টায় গোটা বিশ্ব। ভারতবর্ষের মতো উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে এই সংকট মোকাবিলা বেশ কঠিন একটি, বৃহত্তর জনসংখ্যার দেশ ভারতে এই মহামারী যেকোনো মুহূর্তে ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিকে কোনোভাবে হালকা করে নিয়ে গোটা মানবজাতিকে সংকটের সামনে আনা মোটেই সমীচীন নয়।
পৃথিবীর এই সংকটময় পরিস্থিতিতে মানবসভ্যতাকে বিপন্ন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আশার আলো প্রতিষেধক আবিষ্কার। বিশ্বের বিভিন্ন নামি-দামি গবেষণাগার ও গবেষকরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উন্নত প্রযুক্তি উপরিকাঠামোতে দ্রুত এই বিষয়ে সফলতা আসবে সেই আশাতেই থাকতে হবে গোটা বিশ্বকে। ততদিন পর্যন্ত একযোগে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে মানব সভ্যতাকে অক্ষুন্ন রাখতে।
আম্ফানের তাণ্ডবে নাজেহাল পশ্চিমবঙ্গ, মৃত ৮২
কলকাতা, ১লা জুলাই, ২০২০: ফনি,বুলবুলের রেশ কাটতে না কাটতেই পশ্চিমবঙ্গ সাক্ষী থাকল আরো একটি বিভীষিকার, যার নাম আম্ফান । ঘড়ির কাঁটা তখন বিকেল তিনটে ছুঁইছুঁই এর মধ্যেই ভারতীয় ভূখণ্ডে আছড়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান । ঢুকেই রাজ্যবাসীকে চাক্ষুষ করালো তার অসীম ক্ষমতার তাণ্ডবলীলা। তছনছ করে দিলো গোটা রাজ্যকে, কেড়ে নিল ৮২টি প্রাণ। প্রকৃতির কাছে মানুষ কতটা অসহায় তা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই সুপার সাইক্লোন।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এই সাইক্লোনের পূর্বাভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল । বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া নিম্নচাপটি ক্রমশই সুপার সাইক্লোনের রূপ ধারণ করতে থাকে। তারপর সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, গোসাবা, দীঘা-সহ সুন্দরবন উপকূলবর্তী অঞ্চলে ১৭০ কিমি বেগে আছড়ে পড়ে। দক্ষিণবঙ্গের ৮টি জেলার মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে তাণ্ডব চলে প্রায় ৮ ঘন্টা। তাণ্ডবে ১০০০টি কাঁচা বাড়ি ধুলিস্যাৎ হয়, ভেঙে পরে ৪৬০০টি ল্যাম্পপোস্ট, ৫ হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে, নষ্ট হয়েছে গোলাভরা ধান, কৃষিজমি পরিণত জলাভূমিতে, গৃহহীন লক্ষাধিক মানুষ ।মূল কলকাতায় প্রবেশে আম্ফানের গতি কমতে থাকলেও ১২০ থেকে ১৩০ কিমি বেগে ধাবমান মহাপ্রলয় আনন্দনগরীকে করে তোলে বিষাদময়। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হওয়ার সাথে মহাপ্রলয়ে বলি ৮২। এইরূপ বিধ্বংসী ঝড় আগে দেখেনি রাজ্যবাসী।
তবে ঝড়ের পূর্বাভাস মাত্রই তৎপর প্রশাসন আগেভাগেই ৫ লক্ষের বেশি মানুষকে উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করেছিল। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের কন্ট্রোলরুম থেকে বসে পুরো ঘটনার নজরদারি চালান। এই ঝড় পরবর্তী সময় রাজ্যের পুলিশ ও বিভিন্ন কর্মীরা একত্রিত ভাবে উদ্ধারকার্যে নামে। মৃতদের ২ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী । এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ মোকাবিলায় ১ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন এবং দুর্দশা মোকাবিলার সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।
আত্মনির্ভর ভারত অভিযান
কলকাতা, ১লা জুলাই, ২০২০: করোনা থাবায় বিশ্ব অর্থনীতি যখন বিপর্যস্ত,তখন ভারতীয় অর্থনৈতিক দৃঢ় করতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। ১২ই মে ঘোষিত এই প্যাকেজের নামকরণ হয়েছে "আত্মনির্ভর ভারত অভিযান"। এই ঘোষণার দুটি অভিমুখ যথা বর্তমান পরিস্থিতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা এবং দরিদ্রের হাতে নগদ টাকা দিয়ে বর্তমান অর্থনৈতিক চাপ মুক্ত করা। এই পদক্ষেপ বর্তমান মহামারীতে ভেঙে পড়া অর্থনীতি ও অন্যান্য দিক যেমন কৃষি, ক্ষুদ্র শিল্প, কয়লা ও খনি শিল্পে নতুন আলোর দিশা দেখাবে এটাই বাঞ্ছনীয়। করোনা ভাইরাস থাকবেই কিন্তু দেশকে লড়তে হবে ও এগিয়ে যেতে হবে এই বার্তা নিয়ে কার্যত প্রধানমন্ত্রী 'আত্মনির্ভর দেশ' গড়ার কথা বলেছেন। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "করোনা পরিস্থিতি ভারতকে আত্মনির্ভর হতে শেখাচ্ছে। আমাদের সংকল্প আত্মনির্ভর ভারত।" এই প্যাকেজ অনুযায়ী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, কৃষক শ্রেণী সংগঠিত ও অসংগঠিত সকল শ্রেণীর মানুষ উপকৃত হবেন। প্রধানমন্ত্রী ঐদিন আরো বলেন আমাদের দেশ পাঁচটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে- অর্থনীতি, পরিকাঠামো, সিস্টেম, ডেমোগ্রাফি এবং চাহিদা। ভারত যেহেতু উন্নয়নশীল দেশ ও এর বেশির ভাগ আয় আছে গৌণ ক্ষেত্র থেকে, তাই এই প্যাকেজের থেকে ৩লক্ষ কোটি লোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এই ক্ষেত্রের জন্য। এই প্যাকেজ দেশের জিডিপির ১০%। আত্মনির্ভর ভারত অভিযান প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য দেশের আর্থিক চাহিদা ও বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্র গড়ে তোলার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনা দেশের শিক্ষা, শ্রমশক্তি প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়ন আনবে আশা করা যায় । Covid-19-এর প্রভাবে বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দাকে ১৯৯১ সালের বেসরকারীকরণ, বিশ্বায়নের ফলে সৃষ্টি হওয়া মন্দার সাথে তুলনা করা চলে। এই ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাকারী এই প্যাকেজ নতুন সুযোগের সম্ভাবনার কথা বলে এবং এর বাস্তব রূপ কী হবে তা ভবিষ্যৎ নিরূপন করবে।এইভাবেই ৫টি রিপোর্ট পিডিএফে দেওয়া হয়েছে
File Details::
File Name:৫টি প্রতিবেদন রচনা
File Format: PDF
No. of Pages:4
File Size:488 KB
Click Here to Download
অনেক অনেক ধন্যবাদ বাংলা প্রতিবেদনের জন্য। স্বপ্ন.ইন আমাদের স্বপ্নকে পূরণ করতে সাহায্য করছে ,ধন্যবাদ।
ReplyDeleteআইন সম্পর্কিত বা social issues ওপর যদি প্রবন্ধ শেয়ার করেন তাহলে খুবই উপকৃত হব।
ReplyDeleteSocial issues এর উপর বাংলায় প্রতিবেদন হলে আরো ভালো হয়।
ReplyDeleteভাষা খুব সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ। আরো এধরনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাব এই আশা রাখছি। ধন্যবাদ জানাই Rup Kumar Mitra স্যার কে।
ReplyDeleteThanks for provide this helpful notes.
ReplyDeleteMuch more thanks swapno.on
ReplyDeleteEnglish report আরো provide korle valo hoi.
ReplyDeleteখুব উপকারী। অনেক ধন্যবাদ
ReplyDeletethanks
ReplyDeleteKhub Valo report gulo. Aro important report both English and Bengali te dile Valo hay. Thanking you.
ReplyDeletePlz rup kumer Mitra sir aro PDF provide korun. Apnar lekha Ami pore exam di. Plz sir
ReplyDeleteUnemployment ও price hike এর উপর english e report thakle khuub valo hoto
ReplyDeleteভালো লিখেছেন।
ReplyDeleteDrobbo moller ordogoti protivadon lichen plz plz plz 24 November exam
ReplyDelete