ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান সংজ্ঞা ও উদাহরণ PDF:
![]() |
ণত্ব ও ষত্ব বিধান |
Hello Friends,
আজ ণত্ব ও ষত্ব বিধান pdfটি শেয়ার করছি, যেটিতে বাংলা ব্যাকরণের অন্যতম অধ্যায় হিসাবে
ণ-ত্ব বিধি ও ষ-ত্ব বিধির নিয়ম উদাহরণ সহযোগে দেওয়া হলো। প্রাইমারী, আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাতে এই অংশ থেকে প্রশ্ন আসে। তাই শব্দে ণ এবং ষ ব্যবহারের নিয়ম গুলি এখান থেকে পড়ে নিন।
ণ-ত্ব বিধান কাকে বলে?
বাংলা ভাষায় দন্ত্য ন ও মূর্ধন্য ণ-এর উচ্চারণগত কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু সংস্কৃত ভাষায় এর পার্থক্য ছিল। আমরা জানি বাংলা ভাষায় অবিকৃত বহু সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করা হয়। এ সংস্কৃত শব্দগুলোতে সংস্কৃতের মত দন্ত ন ও মূর্ধন্য-ণ ব্যবহার করা হয়। তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে যে নিয়মকে অনুসরণ করে মূর্ধন্য ণ-এর ব্যবহার হয় তাকেই ণ-ত্ব বিধান বলে।
❏ তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ ছাড়া বাংলাভাষার শব্দসম্ভারের অন্য কোন শব্দে মূর্ধন্য ণ লেখার নিয়ম নেই।
❏ তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে ণ-এর ব্যবহারের নিয়মকে ণ-ত্ব বিধান বলে।
ণ-ব্যবহারের নিয়ম
১. ট বর্গীয় ধ্বনির আগের দন্ত্য ন সব সময় মূর্ধন্য ণ হয়। যেমন ঘণ্টা, লুণ্ঠন, কাণ্ড ইত্যাদি।
২. ঋ, র, ষ এর পরে মূর্ধন্য ণ-হয়। যেমন- ঋণ, তৃণ, বর্ণ, ভাষণ ইত্যাদি।
৩. ঋ, র, ষ এর পরে স্বরধ্বনি, য, ব, হ এবং ক ও প বর্গীয় ধ্বনি থাকলে পরবর্তী দন্ত্য ন মূর্ধন্য ণ হয়। যেমন- হরিণ (র এর পরে ই তারপরে ণ), অর্পণ (র+প+অ+ণ), লক্ষণ (ক্+ষ্+অ+ণ), কৃপণ (ঋ কারের পরে প্, পরে ণ) ইত্যাদি।
৪. সমাসবদ্ধ শব্দে দুইপদেরই অর্থের প্রাধান্য থাকলে ণ-ত্ব বিধান খাটে না। যেমন- ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি ইত্যাদি।
৫. ত বর্গের আগে কখনও মূর্ধন্য ণ হয় না- দন্তন্য ন হয় যেমন-অন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন ইত্যাদি।
৬. কিছু শব্দে সবসময়ই ণ হয়।
যেসব শব্দে সব সময়ই মূর্ধন্য ণ হয়—
মাণিক্য, গণ, বাণিজ্য, লবণ, মণ, বেণু, বীণা, কঙ্কণ, কণিকা, কল্যাণ, শোণিত, মণি, গুণ, পুণ্য, অনূ, বিপণী, ক্ষণিকা, লাবণ্য, বাণী, গৌণ, কোণ, ভাণ, পণ।
৭. কিছু শব্দে সবসময়ই ন দন্ত্য হয় মূর্ধন্য ণ হয় না। যেসব শব্দে সবসময়ই দন্ত্য ন হয়— কর্তন, ক্রন্দন, বন্ধন ইত্যাদি
ষ-ত্ব বিধান কাকে বলে?
সংস্কৃত ভাষায় মূর্ধন্য ষ এর ব্যবহার আছে। সেজন্য বাংলা ভাষায় যে সব অবিকৃত সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করা হয় সেগুলোতে মূর্ধন্য ষ ব্যবহারের নিয়ম প্রচলিত আছে। যে বিধান বা নিয়ম অনুসারে অবিকৃত সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য ষ-এর ব্যবহার করা হয় তাকেই ষ-ত্ব বিধান বলে।
❏ বাংলা ভাষায় মূর্ধন্য ষ এর বিশেষ উচ্চারণ নেই। খাঁটি বাংলা শব্দ ও বিদেশী শব্দের বানানে মূর্ধন্য ষ লেখার প্রয়োজন নেই।
❏ সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য ষ এর ব্যবহারের নিয়মকে ষ-ত্ব বিধান বলে।
ষ-ব্যবহারের নিয়ম
১. অ, আ, ছাড়া অন্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র এর পর মূর্ধন্য ষ হয়। যেমন- ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, বিষয়, সুষমা ইত্যাদি।
২. ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতকগুলো ধাতুতে মূর্ধন্য ষ হয়। যেমন- অভি-সেক>অভিষেক, সুপ্ত>সু=সুষুপ্ত, অনু-সঙ্গ>অনুষঙ্গ, প্রতি- সেধক>প্রতিষেধক, অনু-স্থান>অনুষ্ঠান ইত্যাদি
৩. ঋ-কার ও র এর পর মূর্ধন্য ষ হয়। যেমন— কৃষক, তৃষ্ণা, বর্ষা, উৎকৃষ্ট, বর্ষা, বৃষ্টি, দৃষ্টি, বর্ষণ ইত্যাদি।
৪. ট ও ঠ এর পর মূর্ধন্য ষ হয়। যেমন- কষ্ট, কাষ্ঠ, সুষ্ঠু, নষ্ট ইত্যাদি।
কিছু শব্দে সবসময়ই মূর্ধন্য ষ হয়। যেসব শব্দে সব সময়ই মূর্ধন্য ষ হয়—
আষাঢ়, ঊষা, ঊষর, আভাষ অভিলাষ, ঈষৎ, ঈর্ষা, কষায়, কোষ, পাষণ্ড, পাষাণ, ভাষা, ভাষণ, মানুষ, সরিষা, ঔষধ, ওষধি, ঘোষনা, পৌষ, কলুষ, শোষণ, ষড়যন্ত্র, সুষম ইত্যাদি।
৬. সংস্কৃত সাৎ প্রত্যয়যুক্ত শব্দে মূর্ধন্য ষ হয় না। যেমন- ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ ইত্যাদি।
ণত্ব ও ষত্ব বিধানের নিয়ম গুলি পিডিএফে আছে
File Details::
File Name: ণত্ব ও ষত্ব বিধান
File Format: PDF
No. of Pages: 2
File Size: 473 KB
Click Here to Download
No comments:
Post a Comment
Dont Leave Any Spam Link