Bangla Protibedon Writing Part-5 PDF -প্রতিবেদন রচনা
![]() |
Bangla Protibedon Writing |
নমস্কার বন্ধুরা,
আজ Bangla Protibedon Writing Part-5 PDFটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি, যেটিতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুটি বিষয়ের উপর প্রতিবেদন রচনা বা রিপোর্ট রাইটিং দেওয়া হলো| তাই দেরী না করে নীচ থেকে Bangla Protibedon গুলি পড়ে নিন এবং প্রয়োজনে পিডিএফটিও সংগ্রহ করতে পারেন|
ভারতবর্ষে পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা ও সমাধান
ওরা কারা? ওরা পরিচয়হীন অগুনতি চালচুলােহীন শ্রমিক। বিশ্বব্যাপী করােনা নামক মহামারীর প্রকোপে দেশজুড়ে জারী হওয়া লকডাউনের সময় থেকে তাঁরা দেশবাসীর কাছে পরিযায়ী নামে পরিচিত হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কর্মসূত্রে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের লকডাউনের কারণে পড়তে হয় মারাত্মক যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে তাঁরা কাজ হারান, বাসস্থান হারান, হাতের পুঁজি আসে কমে। পেটের খাবার জোটাতে আর সমর্থ হন না। দিল্লী, মুম্বাই, গুজরাট বাঁ দক্ষিণ ভারতে কাজ করতে যাওয়া কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের অবস্থাটা ঠিক এমনই। কোনাে উপায় না দেখেই ঘরে ফেরার রাস্তা দেখেন তাঁরা।
দিল্লীর একটা আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাল এর ছবি বহু মানুষই দেখেছেন কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় সেখানে, লকডাউনের পড়ে তাঁরা নিজের নিজের গ্রামে ফেরার চেষ্টা করছেন। বহু মানুষ পায়ে হেঁটে বাঁ সাইকেলে চেপেই পাঁচ, ছয় বা সাতশাে কিলােমিটার দূরে নিজের গ্রামে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছেন স্ত্রী সন্তানের হাত ধরে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে এই কয়েক লক্ষ মানুষ নিজেদের গ্রামে যেতে গিয়ে সারা দেশে ভাইরাস ছড়িয়ে দেবেন। কিন্তু তাঁরা বাধ্য হয়েছিলেন পায়ে হেঁটে শয়ে শয়ে কিলােমিটার পাড়ি দিতে – কারণ এঁদের কাজ বন্ধ, খাবারের সংস্থান অনিশ্চিত, গ্রামে ফিরলে অন্তত ঘর ভাড়াটা গুণতে হবেনা, আর কোনও মতে খাবার ঠিকই জুটে যাবে - এমনটাই ভেবেছিলেন এরা। দীর্ঘদিন ধরেই পরিযায়ী শ্রমিকের ঘরে ফেরা নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্ক চলছে। আর তার মাঝেই এই শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে প্রাণ হারাতে হচ্ছে কোথাও ট্রেনে চাপা পড়ে, কোথাও ট্রাক উল্টে, কোথাও ক্লান্তিতে দেহের ভার না রাখতে পেরে হচ্ছে মৃত্যু। পরিযায়ী শ্রমিকের ঘরে ফেরার এই করুণ চিত্র প্রতিনিয়ত শিহরিত করছে দেশবাসীকে।
ভারতের অর্থনীতিকে সচল রাখতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সামাজিক বা স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে তারাই সবচেয়ে ব্রাত্য। পরিযায়ীদের সমস্যা যে আগে ছিলনা, এমনটা নয়। এবার। গুলিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাে করােনা মহামারী। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার জন্য শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু করেন তবুও তাঁদের দুর্দশার চিত্র পুরােপুরি পাল্টায়নি। সম্প্রতি এই পরিযায়ীদের দুর্দশার বিষয়ে জানতে আগ্রহী হল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে ও তাঁদের সংকট কাটাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তলব করলাে সুপ্রিমকোর্ট। ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে তাঁর সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের ভালাে রাখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের মাধ্যমে সেগুলিকে সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমেই পরিযায়ী শ্রমিকের স্থায়ী সমাধান সম্ভব। করােনা পরবর্তীতে সমাজের এই শ্রেণীটি যেন আর ব্রাত্য না থেকে যায় সেই দায়িত্বও নিতে হবে রাষ্ট্র ও সরকারকে।
কেরলে অন্তঃসত্ত্বা হাতি হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদন কেরল ৭ই নভেম্বরঃ কেরলের শ্যামল সরােবরে একটি অবলা প্রাণী যে বীভৎসতায় মৃত্যুতে মশে গেল, তার সঙ্গে ‘পােস্ট অ্যাপােক্যালিপটিক’ সিনেমার ‘জম্বি' র জ্যান্ত জীবকে ছিড়ে খাওয়ার সেন্সর করা দৃশ্যগুলির কি অশুভ সাদৃশ্য। আকস্মিক বিহ্বলতায় এও মনে হয়েছিল, কোভিড-১৯ যেমন ভয়াবহভাবে নিজেকে ‘মিউটেট করতে পারে, কে জানে, তেমনই সাংঘাতিক জিনগত বদল ঘটিয়ে মানুষ ক্রমে জম্বি অর্থাৎ পিশাচ হয়ে যাচ্ছে না তাে ? সেই তারাই হয়তাে ছিল ভগবানের দেশের সাইলেন্ট ভ্যালির নিথর সৌন্দর্যের আড়ালে।
কেরলে সাক্ষরতার হার ৯৩ শতাংশ। সাক্ষরতা যে শিক্ষার মূল বিচার্য নয়, তার একটা বড় উদাহরণ, ভারতের ওই উন্নত রাজ্যের প্রাণীদের উপর নৃশংস ও প্রাণীহত্যা নিয়মমাফিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১০ সালে দুটো হাতির সারা গায়ে কেরােসিন স্প্রে করে আগুন জ্বালিয়ে মারা হয়েছিল। ২০১৩ সালে খাবারে বিষ মিশিয়ে ৫৬টি পথ কুকুরকে হত্যা করা হয়েছিল ওই কেরলেই। সংবাদপত্রে এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড়ও উঠেছিল। আর ২০২০ তে, করােনা আতঙ্কে স্তব্ধ মানুষ যখন প্রকৃতির কাছে শিক্ষা নেবে বলে ভাবা শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই ঘটল আরও এক অবর্ণনীয় বর্বরতা, ওই রাজ্যেই। একটি অন্তঃসত্ত্বা হাতি অরণ্যে খাবার না পেয়ে ঢুকে পড়ে মনুষ্য জঙ্গলে। আনারসের মধ্যে বাজি ঢুকিয়ে রাখা ছিল, সরল বিশ্বাসে সেই ফলটি খেতে গিয়ে চিবােতেই মুখের মধ্যে বিস্ফোরণ, রক্তারক্তি, বিস্ফোরণের জেরে তৈরি হওয়া ক্ষত এবং অসহ্য যন্ত্রণা থেকে নিস্তার পেতে অসহায় অবস্থায় ভেলিয়ার নদী ধরে চলে যায়। প্রায় দুই সপ্তাহ ড় ডুবিয়ে জলে দাঁড়িয়ে থেকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। আর পেটে থাকা হাতির দ্রুণটির বয়স হয়েছিল দুমাস সেটিও শেষ হয়ে যায়। এই বর্বরতা এমন দৃশ্য গােটা দুনিয়াকে শিহরিত করে তােলে।
কিন্তু কেন এই বর্বরতা? কেন এই নৃশংসতা একবিংশ শতাব্দীর উন্নত সভ্য সমাজের এ কেমন নিদর্শন। অবলা জীবজন্তু কেন বারংবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিষ্ঠুরভাবে প্রাণ দেবে, অত্যাচারিত হবে। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এই পাশবিক নিষ্ঠুরতার, অপরাধের শাস্তি ও বিস্তর কিন্তু অপরাধ নিত্যনৈমিত্তিক। জীবকুলের শ্রেষ্ঠ ও উন্নত জাতি মানুষ কিন্তু তারই মান আর হুঁশ একেবারে তলানীত। পশু নির্যাতনের কেবলমাত্র আইন নয় তার সুচারু বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপরাধীকে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদান বাধ্যতামূলক যাতে পরবর্তীকালে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি জাগে চরম শিহরিত। জীবকুলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই কাম্য তবেই মঙ্গল পৃথিবীর। মনুষ্যজাতিকে পাশবিক না হয়ে আরও বেশী পরিমাণে মানবিক হয়ে উঠতে হবে।
File Details::
File Name: প্রতিবেদন পর্ব-৫
File Format: PDF
No. of Pages: 2
File Size: 455 KB
Click Here to Download
No comments:
Post a Comment
Dont Leave Any Spam Link