বাংলা প্রতিবেদন রচনা পর্ব-২ | Bengali Report Writing PDF
বাংলা প্রতিবেদন রচনা |
পরীক্ষার জন্য বাংলা প্রতিবেদন রচনা পর্ব-২ | Bengali Report Writing PDFটি আপনাদের বিনামূল্যে প্রদান করছি, যেটিতে সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন বিষয়ে লেখা ৫টি প্রতিবেদন থাকছে| যেগুলি Clerkship, ICDS Main, WBP SI Main, WBCS-সহ অন্যান্য পরীক্ষার জন্য বেশ উপযোগী| এর আগেও একটা পর্ব আমরা প্রকাশ করেছি|
তাই দেরী না করে, নীচ থেকে কয়েকটি নমুনা দেখে নিন এবং প্রয়োজনবোধে ৫টি বাংলা প্রতিবেদন ডাউনলোড করে নিন|
কিছু নমুনা প্রতিবেদন::
বিকল্প পাঠদান হিসাবে অনলাইন ক্লাসরুম
কলকাতা ১০ই জুলাই,২০২০: দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ এবং লকডাউন এর ফলে দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সমস্ত স্কুল-কলেজ ও নানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন থেমে যায়নি। দেশের অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি পাঠক্রমকে সচল রাখতে অনলাইন শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন-ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ-জুম বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে চলছে পড়াশোনা। ইতিমধ্যে এই অনলাইন পাঠ্যব্যবস্থায় বেশ কিছু ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক দেখা গিয়েছে।অনলাইন ক্লাসে পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে। শিক্ষক শিক্ষিকার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছে, প্রশ্ন-উত্তর করতে পারছে, বিভিন্ন প্রকার টেস্ট দিতে পারছে। কোন বিষয় বুঝতে না পারলে সেগুলির অফলাইন রেকর্ডিং এর মাধ্যমে পুনরায় দেখে নিতে পারছে। অনলাইন গ্রুপে পড়ুয়ারা নিজের মধ্যে আলোচনা করতে পারছে, কোন প্রশ্ন থাকলে সেগুলি সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে জানাতে পারছে। বেশ কিছু সুবিধা থাকা সত্ত্বেও সমস্যাও নেহাতই কম নয়। সবচাইতে বেশি সমস্যার সম্মুখীন গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়ারা, যাদের অধিকাংশের কাছে ইন্টারনেট সংযোগ তো দূরের কথা কোন স্মার্টফোনই নেই।শহরাঞ্চলের পড়ুয়ারা স্মার্ট ফোন পেলেও অনেক সময়ই ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বলতার কারনে লাইভ ক্লাসে নানান বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। অল্প বয়সের পড়ুয়ারা দীর্ঘসময় ধরে মোবাইল স্ক্রীন-লাপটপ স্ক্রীনে একটানা তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘ ক্ষণ ক্লাস করার ফলে অনেক পড়ুয়ারই মাথার যন্ত্রণা ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিচ্ছে ।
বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে সবকিছুকে থামিয়ে রাখা গেলেও শিক্ষা কখনো থেমে থাকতে পারে না আর এই সময় অনলাইন ক্লাস একমাত্র বিকল্প ব্যবস্থা। তবে এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে যাতে কোনভাবেই ছাত্র-ছাত্রীর শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি না হয়। ক্লাস গুলিকে নির্দিষ্ট বিশ্রাম অন্তর আয়োজন করতে হবে। শিক্ষা গ্রহণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে যাতে সবসময় আনন্দ ও আগ্রহ সঞ্চার এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
অপসংস্কৃতির অন্ধকারে নিমজ্জিত যুবসমাজ
কলকাতা ১০ই জুলাই,২০২০: যে কোন জাতি ও দেশের সামগ্রিক বিকাশ লাভের শ্রেষ্ঠতম প্রকাশক হলো তার সংস্কৃতি। মানুষের শিক্ষাদীক্ষা, আচার-আচরণের বিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিটি জাতি নিজের সংস্কৃতির বিকাশ ঘটিয়েছে তবে সংস্কৃতি এই চিরপ্রবাহমান স্রোতে বালুচরের ন্যায় আজ স্থান করে নিয়েছে অপসংস্কৃতি। অপসংস্কৃতির দামামা বিশেষ করে যুব সমাজকে কুশিক্ষার পঙ্কিল সলিলে নিমজ্জিত করেছে।অপসংস্কৃতি শব্দটি দ্বারা কুরুচিকর নিম্নমানের সংস্কৃতিকে চিহ্নিত করা হয়। কোন জাতি, ভাষা, আচার-আচরণে, শিল্পে-সাহিত্যে, সঙ্গীত-বিনোদনে, পোশাক-আশাকে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে যখন নিম্নমানের পরিচয় পাওয়া যায় তখন তাকে অপসংস্কৃতি বলা চলে। বর্তমান যুব সমাজের মধ্যে এই অপসংস্কৃতি একপ্রকার আলোকময় দুনিয়ায় পরিণত হয়েছে। সংস্কৃতি ও তার ঐতিহ্যকে বিকৃত করে নিজেকে প্রকাশ করার এক অদ্ভুত নেশায় মত্ত তারা। যুব সমাজ সংস্কৃতির ধারক ও বাহক কিন্তু বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতিতে অপসংস্কৃতি এক লহমায় ছড়িয়ে যাচ্ছে কোনায় কোনায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে একশ্রেনীর বিকৃত মনোবাভাপন্ন মানুষ জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে এই অপসংস্কৃতির। নৈতিক মূল্যবোধ হারিয়ে সেই গুলিকেই আপন করে নিচ্ছে যুবসমাজ। বর্তমান যুবসমাজ "পঁচিশে বৈশাখ" এর তুলনায় নিউ ইয়ার বা খ্রীষ্টমাস পালনে বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অপর সংস্কৃতিকে আপন করে নেওয়ার মাহাত্ম্য হয়তো আমাদের আছে, কিন্তু তা কখনোই নিজের সংস্কৃতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে বা বিকৃত করে নয়।
দেশের যুবশক্তিকে অপসংস্কৃতির প্রভাব থেকে মুক্ত করে সমাজের সার্বিক উন্নতি সাধনে আগ্রহী করে তুলতে হবে। শুধু নীতিকথা প্রচার করে নয় সরকারের পক্ষ থেকে কুরুচিকর অনুষ্ঠান সম্প্রচারের উপর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে, অশ্লীল ও বিকৃত বিনোদনকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। তবেই অপসংস্কৃতি নামক সামাজিক অভিশাপটি চিরতরে নির্মূল করা সম্ভব হবে এবং ভারতবর্ষ পুনরায় নিজের সাবেক সংস্কৃতিমান সত্ত্বা নিয়ে জাগ্রত হতে পারবে।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও যুবসমাজ
কলকাতা ১০ই জুলাই,২০২০: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতির সাথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে মানবসভ্যতা। একবিংশ শতাব্দীর উন্নত সমাজ ব্যবস্থায় বিজ্ঞানের নবতম সংযোজন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এর মাধ্যমে খুব সহজেই পৃথিবীর বহু অজানা বিষয় কয়েক মুহূর্তেই মানুষের হাতের মুঠোয় চলে আসছে। সময়ের সাথে সাথে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইন্সট্রাগ্রাম, টুইটার বর্তমান সময়ে এক অতিপরিচিত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। এক্ষেত্রে অতিসক্রিয়তায় দেখা যাচ্ছে বর্তমান যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে, তারা তাদের অনেকটা সময় অতিবাহিত করছে এইসব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার আজকের যুবসমাজকে অপরাধপ্রবণ করে তুলছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কে "সব পেয়েছির দেশ" হিসাবে ব্যবহার করতে গিয়ে তাদের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীরা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য এই মাধ্যমকে ব্যবহার করছে। দেশের যুবসমাজ খুব সহজেই তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে। সমাজবিরোধীরা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর মাধ্যমে অপরাধমূলক কাজকর্ম চালাচ্ছে। কখনো ব্যাংকের গ্রাহকের গোপন কোড জেনে টাকা আত্মসাৎ করেছে। যুবসমাজ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে ঠকানো, কাউকে কলঙ্কিত করতে মিথ্যা প্রচার হিসেবে এই মাধ্যম ব্যবহার করছে। কখনো বন্ধুত্ব করে তাদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করছে,অশ্লীল ছবি পর্যন্ত ব্যবহার করছে। সত্যতা বিচার না করেই বিভিন্ন রকম তথ্য পোস্ট বা শেয়ার করছে, যার থেকে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের যুবসমাজ এই সাইট ব্যবহার করে বাস্তব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কল্পলোকের বাসিন্দা হয়ে উঠছে। সাময়িক তৃপ্তির আকাঙ্খায় মানবিকবোধ জলাঞ্জলী দিয়ে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে।
দেশের উন্নতি ও সার্বিক বিকাশের যুব সমাজের উপর নির্ভরশীল। তাই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এর ভয়ানক জালে না জড়িয়ে সেটিকে সমাজের হিতকর কাজে ব্যবহারে উদ্যোগী হতে হবে। সরকারকে সাইবারক্রাইম রোধে কঠোর আইন প্রনয়ন করতে হবে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এর সুফল যাতে মানুষ ব্যবহার করতে পারে তার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। যুবসমাজকে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে সমাজের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হতে অনুপ্রানিত করতে হবে। মানবিকবোধ জাগ্রত করে, সুস্থ মানসিক স্থিতি তৈরী করেই যুবসমাজের মধ্যে থেকে এই অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনা সম্ভব।
এইভাবে ৫টি প্রতিবেদন পিডিএফে দেওয়া আছে
File Name:প্রতিবেদন রচনা পর্ব-২
File Format: PDF
No. of Pages:4
File Size: 322 KB
Click Here to Download
অনেক অনেক ধন্যবাদ বাংলা প্রতিবেদনের পর্ব 2 এর জন্য।
ReplyDeleteVery helpful . পরবর্তী পর্ব গুলো খুব জলদি প্রোভাইড করলে আরো উপকৃত হবো ।
ReplyDelete